নারীবাদী বা মানবতাবাদী হতে হয়না সব সময়, সব সময় মুক্তচিন্তাবিদ বা বিচারক হতে হয়না। কখনো কখনো সাধারণ একজন মানুষ হয়ে বিবেকের সামনে দাঁড়াতে হয় এবং জিজ্ঞাসা করতে হয়, “কেমন আছ? শরীর-মন ভাল তো? কিছু কি খেয়েছ?” প্রশ্নটা নিজের মনের গহীন থেকে হাওয়া উচিত। সত্যি কথা বলতে কি যারা আজ এসবে দ্বিধাবোধ করে, যারা নিষ্ঠুর সত্যটাকে আপন করে নিতে পারে না, যারা সংসার ধর্মে প্রিয়জনদের পাশে রাখতে চায় না। তারাই সমাজে হাজার হাজার ঘটনার জন্য দায়ী।
কিন্তু ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া ভাবুক ছেলে রাহাত বিবেকের তাড়নায় সমাজের হতদরিদ্র মানুষের অসহায়ত্বের পাশে সর্বদা দাঁড়ায়। একদিন ছোট মেয়ে আঁখির সঙ্গে রাহাতের দেখা হয়, কথা হয়। আঁখির বাবা তাদের মাকে ছেড়ে অন্য কোথাও নিরুদ্দেশ হয়। আঁখির মা প্যারালাইসিসের এক মরন পথের শয্যাশায়ি রোগী। ভাই চা এর দোকানে কাজ করে তাতে গরীব সংসার চলে না। আঁখি আসল পড়ালেখা কি জিনিস সেটার সে সাধ পায়নি। বাস্তবতা তার পেটের দায়, মায়ের চিকিৎসা, কি করবে সে নিরুপায় হয়ে বেরিয়ে পড়ে রাস্তাই ভিক্ষা করতে। অন্য দিকে রাহাত, আখি ভিক্ষা করা মেনে নিতে পারে না। আখিকে ৫ টাকা দিয়ে ভাত খাবার জন্য দিলে আখি অনেক ঘটনা তুলে ধরে, রাহাত সে সব ঘটনা শুনে মর্মাহত হয়। এমন কথপকথোনের মাধ্যমে আখি, রাহাতের মধ্যে বিবেকটা উপজীব্য হয়ে দাঁড়ায়। এই ভাবে এগিয়ে চলে বিবেক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের করুন কাহিনী।
তরুন নির্মাতা শাহারিয়া হাসান শুভ’র রচনা ও পরিচালনায় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র “বিবেক” নির্মাণে মগ্ন হন। পরিচালক শাহারিয়া হাসান শুভ বলেন, এ চলচ্চিত্রটি তার প্রথম নির্মিত। তিনি ড্রিম মেকিং প্রোডাকশনে অনেক দিন ধরে প্রধান সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজে ছিলেন। অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি বিবেক চলচ্চিত্র নির্মাণে ড্রিম মেকিং প্রোডাকশনের চেয়ারম্যান শাহারিয়ার চয়ন ভাইয়ের সর্বোচ্চ সাহায্য সহযোগিতায় পেয়েছে। অভিনয় করেছে তরুন মডেল অভিনেতা জিহাদ খাঁন ও ছোট মেয়ে লামিয়া। পরিচালকের সঙ্গে সহকারী পরিচালক হিসেবে রাজিব রাজ ও আলভি খাঁন রয়েছে। স্বপ্লদৈর্ঘ্য চলচ্চিএটি ড্রিম মেকিং প্রোডাকশন এর ব্যনারে নির্মান হয়েছে। খুব শিঘ্রই এটি মুক্তি পাবে এবং বিভিন্ন চলচ্চিএ উৎসবে প্রদর্শিত হবে। “বিবেক” স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি রাজশাহীর বিভিন্ন মনোরম পরিবেশে চিত্রায়িত হয়েছে।